Header Ads

Header ADS

বিটকয়েনের কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা / অসুবিধা

বিটকয়েনের কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য  এবং সুবিধা /  অসুবিধা


বিটকয়েন একটি সম্পূর্ণ বিকেন্দ্রীভূত মুদ্রা ব্যবস্থা। সরকার কিংবা কোনো কর্তৃপক্ষ এটি নিয়ন্ত্রণ করে না। পিয়ার টু পিয়ার ব্যবস্থার ফলে এখানে প্রত্যেক ব্যবহারকারী তাদের বিটকয়েনের প্রকৃত মালিক। অন্য কেউ তাদের বিটকয়েন নেটওয়ার্কের মালিকানা নিতে পারে না।
বিটকয়েন লেনদেনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিই হয় নাম বিহীনভাবে। একজন বিটকয়েন ব্যবহারকারী একাধিক বিটকয়েন একাউন্ট খুলতে পারে। এসব একাউন্ট খোলার জন্য কোনো ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ব্যবহারকারীর নাম, ঠিকানা ইত্যাদি প্রয়োজন হয় না। ফলে ব্যবহারকারীর প্রকৃত পরিচয় থাকে গোপন।
বিটকয়েন লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে। প্রতিটি লেনদেনের রেকর্ড ব্লকচেইনে জমা থাকে যা যে কেউ পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে যখন তখন দেখতে সক্ষম। ফলে এখানে কোনো দুর্নীতির সুযোগ নেই।
বিটকয়েন একাউন্ট খোলা খুবই সহজ। এক্ষেত্রে সাধারণ ব্যাংক একাউন্ট খোলার মতো কোনো ঝামেলাযুক্ত ফর্ম পূরণ করতে হয় না। কোন এক্সট্রা ফি-ও প্রয়োজন হয় না। কোনো কাগজপত্রও জমা দেওয়া লাগে না।
বিটকয়েন লেনদেন প্রক্রিয়া খুবই দ্রুত। পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকেই বিটকয়েন পাঠানো হোক না কেন তা কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রাপকের কাছে পৌঁছে যাবে।


বিটকয়েন এর সুবিধা সমূহঃ

১। লেনদেনে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন থাকে না।
২। কোন ব্যাংকের সাথে যোগাযোগের প্রয়োজন পরে না।
৩। লেনদেনে পরিচয় গোপন থাকে।
৪। স্বল্প সময়ে যেকোন জায়গায় টাকা পাছানো সম্ভব হয়।
৫। সঞ্চয়ের মাধ্যমে পরবর্তিতে অধিক মূল্যে বিক্রয় করা যায়।
বিটকয়েন এর অসুবিধা সমূহঃ
১। মাইনর ট্রানজেকশন এপ্রুভ করতে অনেক সময় মাত্রাতিরিক্ত সময় নিয়ে থাকে।
২। অকেন সময় বেআইনি কাজে ব্যবহার করা হয়।
৩। কোন সেবা না পেলে তার মূল্য আর ফেরত পাওয়া যায় না।
৪। বিটকয়েন ওয়ালেট নষ্ট হয়ে গেলে তা আর ফিরে পাওয়া যায় না।
৫। বাজার মূল্য অস্থিতিশীল।


বিটকয়েনের কিছু অসুবিধা

বিটকয়েন সম্পূর্ণ অফেরতযোগ্য। অর্থাৎ কেউ ভুল করে কোনো ভুল ঠিকানায় বিটকয়েন পাঠিয়ে দিলে তা আর ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়।
বিটকয়েন লেনদেন প্রক্রিয়া কোনো প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করে না। প্রেরক-প্রাপক উভয়ের পরিচয়ই সম্পূর্ণ গোপন থাকে। ফলে অনেক অপরাধমূলক কাজে বিটকয়েন ব্যবহার করা সম্ভব। অবৈধ পণ্যের কেনা বেচাতেও বিটকয়েন ব্যবহৃত হয়। ইন্টারনেটের গোপন অংশ ডার্ক ওয়েবের সমস্ত লেনদেন হয় বিটকয়েনের মাধ্যমে।
বিটকয়েনের মূল্য অনেকটাই অস্থিতিশীল। কখনো বিশাল পরিমাণে বাড়ে তো কখনো বিশাল ধস নামে।

বর্তমান বিশ্বে বিটকয়েনের মূল্য ও বাংলাদেশে এর অবস্থা:

বিটকয়েন প্রথম চালু হওয়ার পর থেকে দিন দিন এর মূল্য বেড়েই চলেছে। ২০১১ সালে বিটকয়েনের বাজারমূল্য সর্বপ্রথম ০.৩০ ডলার থেকে ৩২ ডলারে উঠে। এরপর ২০১৩ সালে এর দাম উঠে যায় ২৬৬ ডলারে। এভাবে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে বিটকয়েনের দাম। ২০১৬ সালের শেষের দিকে এই দাম চলে আসে ৬০০ ডলারের উপরে। এরপর ২০১৭ সালে বিটকয়েনের দাম বেড়ে যায় রেকর্ড পরিমাণ। প্রতি মাসে প্রায় এক হাজার করে বাড়তে বাড়তে এ বছরের নভেম্বরে বিটকয়েনের দাম উঠে যায় ৯,০০০ ডলারের কাছাকাছি। আর এই ডিসেম্বর মাসেই এই দাম বেড়ে পরিণত হয় ১৫,০০০ ডলারেরও বেশিতে যা সত্যিই অভূতপূর্ব একটি ঘটনা।

বিটকয়েনের দাম বেড়েছে ব্যাপক হারে
বিশ্বের বহু দেশে বিটকয়েন অনেক জনপ্রিয়। ওয়ার্ডপ্রেস, মাইক্রোসফট, উইকিপিডিয়া, ওভারস্টকের মতো বিশ্বের প্রায় ত্রিশ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান বিটকয়েন গ্রহণ করে। দিন দিন এর জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বাড়ছে। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস পর্যন্ত বিটকয়েন নিয়ে মন্তব্য করছেন, “Bitcoin is better than currency“। 

No comments

Powered by Blogger.