Header Ads

Header ADS

বিটকয়েন মাইনার কারা এবং বিটকয়েন কে নিয়ন্ত্রণ করে কে ?

বিটকয়েন মাইনার কারা এবং বিটকয়েন কে  নিয়ন্ত্রণ করে কে ? 



GPU Based Mining

বিটকয়েন মাইনিং হলো সেই প্রক্রিয়া যার দ্বারা লেনদেন যাচাই করা হয় এবং পাবলিক লেজারে যুক্ত করা যা ব্লকচেইন নামে পরিচিত। এবং নতুন বিটকয়েন প্রকাশিত হওয়ার মাধ্যমেও তা যোগ করা হয়। যেকোনো কেউ ইন্টারনেটে উপযুক্ত হার্ডওয়্যার এর মাধ্যমে মাইনিং এ অংশগ্রহণ করতে পারেন। মাইনিং প্রক্রিয়ায় ব্লকে সর্বশেষ লেনদেন কম্পাইলিং করা হয় কঠিন কোনো পাজলের মাধ্যমে। অংশগ্রহনকারী পাজল সমাধান করতে পারলে পরবর্তী ব্লকে যায় এবং পুরস্কারের দাবি জানাতে পারে।
কয়েকমাস আগেই বিশ্বব্যাপী কম্পিউটারগুলোতে ওয়ানাক্রাই র‍্যানসমওয়্যার হামলা চালানো হ্যাকাররা বিটকয়েনে পেমেন্ট চান,এবং যেহেতু পরিচয় সম্পুর্ন গোপন রেখে লেন দেন করা যায় তাই ডার্ক ওয়েবের সব লেনদেন-ই বিটকয়েনের মাধ্যমে হয় কেননা এই অর্থ বিশ্বব্যাপী কোনো সরকারের পক্ষে ট্রেস করা সম্ভব নয়। এছাড়া আরও একটি কারণে বিটকয়েনে আগ্রহ বাড়ছে তা হলো- অতিসম্প্রতি বিটকয়েনের মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে যাচ্ছে ।

বিটকয়েন মাইনার কারা?


USB Based Mining ASIC Device
আপনি নিজেও বিটকয়েন মাইনার হতে পারেন। সর্বপ্রথম যখন বিটকয়েন মাইন করা হয়েছিল তখন খুব কম ক্ষমতা সম্পন্ন একটি কম্পিউটার দিয়ে তা করা হয়েছিল। কিন্তু যত বেশি বিটকয়েন মাইন করা হচ্ছে বিটকয়েন মাইনিং তত বেশি কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
কারণ তখন হ্যাশ গুলো তৈরি করা আরো বেশি কঠিন হয়ে পরছে। তাই আগে একটি ল্যাপটপ দিয়ে মাইন করা গেলেও এখন অনেক ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার লাগে। এবং প্রসেসর এর চেয়ে গ্রাফিক্স কার্ড এই কাজ ভাল করতে পারে বলে। এখন সাধারণত গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করে বিটকয়েন মাইন করা হয়। আপনারা যদি বিট কয়েন মাইনি করে বিট কয়েন আয় করতে চান তবে আমাকে কমেন্ট করে জানান তাহলে আমি ,কিভাবে বিট কয়েন মািইনিং করতে হয় তা নিয়ে আরেকটি আর্টিকেল লিখবো যদিও এখন আপনার বাসার পিসি বা ল্যাপটপ দিয়ে বিটকয়েন মাইনিং অন্তত এখন সম্ভব না। এর জন্য এন্টারপ্রাইস লেভেলের হার্ডওয়্যার দরকার ।

বিটকয়েন কতোটা সুরক্ষিত?

বিটকয়েন আপনার পকেটে রাখা টাকার মতই সুরক্ষিত। কারণ বিটকয়েন এর সিকিউরিটি ভাঙ্গা অসম্ভব। তবে আপনি যদি আপনার গোপন সংখ্যাটি যদি কোন ওয়েবসাইট এ সংরক্ষণ করেন এবং সেই ওয়েবসাইট যদি হ্যাক হয়ে যায় তাহলে আপনার গোপন সংখ্যাটিও হ্যাকারদের হাতে চলে যাবে। তাই এই সংখ্যাটি নিজের কম্পিউটারে সেভ করে রাখা ভাল।

আর লেনদেনের সময় বিট কয়েন আরো বেশি সুরক্ষিত কারন যখন একটি লেনদেন সংগঠিত হয় একজন মাইনারের মাধ্যমে লেনদেনটি ভেরিফাই হয় । সে তার পিসি এবং ইন্টারনেট ইউজ করে তার লেজার আর আমার করা লেজারটা মিলিয়ে দেখবেন। যখন দেখবেন দুটি ঠিক আছে, আমি কোন ফ্রড করিনি, তখন সে এই লেজারটি এপ্রুভ করে দিবে। একে বলা হয় একটি কনফার্মেশন। এভাবে অন্তত ৬টি কনফার্মেশন এর পর লেনদেনটিকে বৈধ হিসাবে ধরা হয়। এতগুলো কনফার্মেশন না হলে, বিটকয়েনটি আবার আমার একাউন্টে ফেরত চলে আসবে।

বিটকয়েন কে নিয়ন্ত্রণ কে?

বিটকয়েন কেউ নিয়ন্ত্রণ করে না। যিনি বিটকয়েন বানিয়েছেন অর্থাৎ শাতোসি নাকামোটো তিনি বা তারাও (কারো কারো মতে শাতোসি নাকামোটো কোন ব্যাক্তির নাম নয় এটি একটি আই টি ব্যাংকিং টিম ) বিটকয়েন নিয়ন্ত্রণ করেন না। কারণ বিটকয়েন এভাবেই তৈরি করা হয়েছে। তাই কেউ চাইলেই বিটকয়েন এর দাম কমিয়ে দিতে পারবে না বা বাড়িয়ে দিতে পারবে না। এবং বিটকয়েন এর কোন ফিজিক্যাল ভ্যালু নেই।
মানুষ বিটকয়েন দিয়ে কেনা বেচা করে কারণ যিনি বিটকয়েন কিনছেন তার বিটকয়েন এর উপর বিশ্বাস আছে এবং যিনি বিটকয়েন বেচতেছেন তারও বিটকয়েন এর উপর বিশ্বাস আছে। আবার যেহেতু কে কাকে বিটকয়েন পাঠালো তা বুঝা গেলো ব্যক্তিকে আলাদা করা যায় না তাই অনেকেই সিকিউরিটি এর জন্য বিটকয়েন ব্যবহার করেন।

বিটকয়েন বৈধ না অবৈধ:

বাংলাদেশ সহ আরো ৫ টি দেশে বিটকয়েন কে অবৈধ বলা হয়েছে দেশগুলো হলো ভিয়েতনাম, আইলেন্ড, বলিভিয়া, ইকোয়াডর, কিরগিজস্তান এবং বাংলাদেশ এই দেশগুলো মনে করে যে এটি একটি ধ্বংসাত্মক প্রযুক্তি এবং যেহেতু সব বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ যা ব্যবহারকারীদের বেনামে ট্রেড করার অনুমতি দেয়, তাই, অবৈধ অর্থ আদান-প্রদান, মাদকদ্রব্য বিক্রয়, ট্যাক্স পরিশোধ থেকে নিজেকে লুকাতে, এবং আরও অবৈধ কার্যক্রমের জন্য বিটকয়েন ব্যাবহার হতে পারে তাই তারা বিট কয়েনকে বৈধতা দেয় না তবে ধিরে ধিরে অনেক দেশ-ই বিট কয়েনকে বৈধ বলে ঘোশনা করছে যেমন জাপান ও অস্ট্রেলিয়া বিট কয়েনকে বৈধ করে দিয়েছে এবং বিট কয়েনের উপর থেকে কর অপসারন করেছে ।

বিটকয়েনের ব্যাবহার

বিটকয়েন দিয়ে যেকোন কাজের জন্য লেনদেন করা যায়। এটা গ্লোবাল তাই পৃথিবীর যেকোন কারো সাথে আপনি লেনদেন করতে পারেন।সাধারণত এক দেশ থেকে অন্য দেশে টাকা পে করলে সময় লাগে, কারেন্সি কনভারসেশন করতে হয়, আর ব্যাংক ফি দিতে হয়। বিটকয়েনে কোন থার্ড পার্টি যেমন ব্যাংক এর দরকার নেই।বিটকয়েন ব্যাবহার করতে হলে আপনার একটা ওয়ালেট করতে হবে, যেটা আপনি অনলাইনে অথবা মোবাইল এপ ইনস্টল করে বানাতে পারবেন।আপনি ইচ্ছে করলে একটা বিটকয়েন এড্রেসও জেনারেট করতে পারেন।বিটকয়েন ইউজ করতে হলে কেবল একটা ওয়ালেট এড্রেস আর একটা পাসওয়ার্ড কি লাগবে।কেউ আপনাকে বিটকয়েন পাঠাতে চাইলে সে এই এড্রেসটা ইউজ করবে। (এই এড্রেসটা আপনি শেয়ার করতে পারবেন)
7f212uAgL6ZEmK2tf543vQ3KuAYQmd751ft
এরপর আপনি এই এড্রেস এর বিটকয়েন আরেকজনকে দিতে চাইলে/খরচ করতে চাইলে এই পাসওয়ার্ড কি ব্যাবহার করবেন। (এই পাসওয়ার্ডটা আপনি শেয়ার করবেন না!)
Kx5cbaDuwYuqmQEsm6JkBYWVZXUP3akkjt8Xq32Vr6ogjFoseNGX
বিটকয়েন হল Anonymous -অর্থাৎ নিজের সম্পর্কে কিছু না জানিয়ে আপনি অর্থ লেনদেন করতে পারছেন।আপনার এড্রেস দিয়ে যে কেউ দেখতে পারবে যে কতগুলো লেনদেন করা হয়েছে কিন্তু আপনার নাম, ঠিকানা কেউ জানতে পারবে না।বর্তমানে অনলাইন ছাড়াও ইউরোপ আমেরিকার অনেক দোকানে, কফি শপ, বারে বিটকয়েন দিয়ে আপনি কিছু কিনতে পারবেন। যতই মানুষ বিটকয়েন এর ব্যাপারে আগ্রহী হবে, ততই মানুষ এটা ব্যাবহার করতে থাকবে।

বিটকয়েনের দাম তার চাহিদা অনুযায়ী বাড়তে কমতে থাকে। আপনি ইচ্ছে করলে বিটকয়েনের একটা ভগ্নাংশ ব্যাবহার করতে পারেন।
যেমন ০.০০০০০০০১ (বিটকয়েনের ১ মিলিয়নের এক ভাগ) কে ১ সাতোশি Satoshi বলা হয়, যেটা বিটকয়েনের সর্বনিম্ন একক।
বিটকয়েনের দাম যদি আরো অনেক অনেক গুন বেড়ে যায় তাহলে এটাকে আরো দশমিকে ভাগ করা যাবে।

কিভাবে বিটকয়েন পাবেন?

বিভিন্ন ভাবে আপনি বিটকয়েন আর্ন করতে বা কিনতে পারেন অনলাইনে ফ্রিল্যান্স কাজ করে বিটকয়েনে পেমেন্ট নিতে পারেন।আপনি ফ্রিতেও বিটকয়েন পেতে পারেন। কিছু ওয়েবসাইট আছে যাদেরকে Faucet বলা হয়। এরা ফ্রিতে বিটকয়েন দেয়। এরা সাধারণত খুব অল্প পরিমান বিটকয়েন/সাতোশি দেয়। বিনিময়ে ওরা তাদের ওয়েবসাইটে এড বসিয়ে ইনকাম করে।
আমি কয়েকটি ট্রাস্টেড ফ্রি বিটকয়েন সাইটের ঠিকানা দিচ্ছি (এগুলো আমার রেফারেল লিংক)
1 Moon Bitcoin II 2 BitFun II 3 Bonus Bitcoin II 4 Moon Litecoin II 5 Moon Dogecoin
6 CoinPot (মাইক্রো ওয়ালেট যেখানে আপনার আর্নিং জমা হবে)
এসকল সাইটে দিনে ২-৩ বার গিয়ে ফ্রিতে কিছু বিটকয়েন নিয়ে নিতে পারবেন এবং কিভাবে বিটকয়েন কাজ করে তার একটা হাতে কলমে অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে।


বিটকয়েন সংরক্ষন

আপনি যদি আপনার বিটকয়েন কোন অনলাইন সাইট বা এক্সচেঞ্জে রাখেন তাহলে সেই সাইট হ্যাকিং হবার সম্ভাবনা আছে। এরকম আগেও হয়েছে আর এর ফলে আপনি সে বিটকয়েন গুলো আর ফেরত পাবেন না।আপনি যদি এক্সচেঞ্জ থেকে সেগুলো নিজের পিসি বা মোবাইল ওয়ালেটে রেখে দেন, তাহলেও পিসি/ফোন ফরম্যাট হলে হারিয়ে ফেলতে পারেন।এজন্য ভাল হয় আপনার ওয়ালেট এর এড্রেস আর পাসওয়ার্ড কি কাগজে প্রিন্ট করে সেটা কোন নিরাপদ স্থানে রেখে দেওয়া।

No comments

Powered by Blogger.